প্লোতিনোস

বিশ্বতাত্ত্বিক চিন্তাভাবনার পাশাপাশি প্লোতিনোস অনুভূতি উপলব্ধির প্রক্রিয়া এবং জ্ঞান নিয়ে একটি অনন্য তত্ত্ব প্রস্তাব করেছিলেন। এই তত্ত্বের ভিত্তি হিসেবে যে ধারণা কাজ করেছিল তা হচ্ছে, মন কেবল একটি জড় তথ্য সংগ্রাহক নয়, সে কম্পিউটারের মত কেবল তথ্য সংগ্রহ করে চলে না, বরং তার অনুভবের বস্তুটিকে সে তার মত করে রূপ ও গড়ন দেয়। এ হিসেবে তাকে আধুনিক রূপতত্ত্বের (ফেনোমেনোলজি) অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উল্লেখ্য মাত্র বিংশ শতকে জার্মান দার্শনিক এডমুন্ড হুসার্ল রূপতত্ত্বের জন্ম দিয়েছেন।
প্লোতিনোস মনে করতেন আত্মার দুটি অংশ রয়েছে- উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষ অপরিবর্তনীয় ও স্বর্গীয় এবং নিম্নকক্ষ থেকে পুরোপুরি আলাদা থাকা সত্ত্বেও সে নিম্নকক্ষকে প্রাণ দেয়। নিম্নকক্ষ ব্যক্তিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে, সুতরাং এতেই সব ধরনের আবেগ-অনুভূতি ও কলঙ্কের অবস্থান। এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আত্মাকে সমর্থন করতে গিয়ে তিনি মানুষের ব্যক্তিগত নৈতিকতাবোধকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেন এবং কেবলমাত্র কোন মরমী উপায়ে উচ্চকক্ষের সাথে মিলিত হওয়াকেই নৈতিকতা অর্জনের একমাত্র উপায় হিসেবে গণ্য করেন। প্লোতিনোসের দর্শনের প্রায় পুরোটাই তার প্রবন্ধসমগ্রে পাওয়া যায় যা তার ছাত্র পোরফিরিওস ছয় খণ্ডে সংকলন করেছিলেন, প্রতি খণ্ডে নয়টি করে প্রবন্ধ ছিল। এই রচনাসমগ্র বর্তমানে Enneads নামে পরিচিত। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4
-
5
-
6
-
7
-
8
-
9
-
10
-
11
-
12
-
13
-
14
-
15
-
16
-
17
-
18
-
19
-
20